রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাস
***   সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গসমূহ   ***   জ্বর   ***   শুকনো কাশি   ***   ক্লান্তিভাব   ***   কম সাধারণ   ***   উপসর্গসমূহ   ***   ব্যথা ও যন্ত্রণা   ***   গলা ব্যথা   ***   ডায়রিয়া   ***   কনজাংটিভাইটিস   ***   মাথা ব্যথা   ***   স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া   ***   ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠা বা আঙুল বা পায়ের পাতা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
সংবাদ শিরোনাম :
কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চুর বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্রকারিদের রুখে দেওয়া হবে। স্মার্ট ভূমিসেবা চালুর ফলে নাগরিকের ভোগান্তি অনেকাংশে লাঘব হবে——সহকারী কমিশনার মোঃ আজাহার আলী কালিগঞ্জে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন কালিগঞ্জে কাজী আবু নাঈম গ্রেফতার সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ফাতিমা খাতুন রিক্তার প্রার্থীতা ঘোষণা আশাশুনিতে বাড়ির সকলকে চেতনা নাশক ছিটিয়ে অজ্ঞান করে চুরি। সাতক্ষীরা জেলা বাসদের বর্ধিত ফোরামের সভা অনুষ্ঠিত কলারোয়ায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কালিগঞ্জে গাজী শওকাত নৌকা পাওয়ায় সহস্রাধীক মটর সাইকেলে আনন্দ র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ১৮ বছরেও এমপিও হয়নি সরদার আবু হোসেন কলেজ: ২০ শিক্ষক কর্মচারী মানবেতার জীবন যাপন
কালিগঞ্জে মৎস্য চাষীদের প্রাপ্য প্রনোদনা আত্মসাতের অভিযোগ।

কালিগঞ্জে মৎস্য চাষীদের প্রাপ্য প্রনোদনা আত্মসাতের অভিযোগ।

 

কালিগঞ্জ প্রতিনিধি:

সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট এর আওতায় প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের প্রাপ্য প্রনোদনা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসে সংগঠিত এ ঘটনায় প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা ফুঁসে উঠেছে। প্রায় সাড়ে ৫কোটি টাকা প্রনোদনা কেলেংকারী নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে তারা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করছে। যা ইতিমধ্যে প্রধান মন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ব্যক্তি বিশেষের কারনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে সমালোচনা হচ্ছে।

প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী ৫হাজার ২শত ৭৭জন এই তালিকায় চুড়ান্ত ঠায় পেলেও তার অধিকাংশ প্রকৃত মৎস্য চাষী নয় বলে জানাগেছে। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র চাষূী যাদের জলাকার তিন একরের মধ্যে, তাদের এই প্রনোদনার টাকা পাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। প্রাপ্ত তালিকায় ভারতে বসবাস কারীর নাম আছে। ঘের নেই তাদের নাম আছে। একই ব্যক্তির নামে বেনামে মোবাইল সিমে প্রনোদনার টাকা ঢুকেছে এবং যাদের সিমে টাকা ঢুকেছে তারা বারবার ভিন্ন সময় একই ধরনের সুবিধা পেয়ে আসছে অভিযোগ আছে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম তার নিজিস্ব লোক দিয়ে যোগসাযোগ করে একটি মনগড়া তালিকা তৈরী করে। যেখানে মৎস্য চাষীর অস্তিত্ব নেই, আবার একই পরিবারের ৬/৭ জন তালিকা ভুক্ত কিম্বা তিন একরের উর্দ্ধে মৎস্য চাষীরাও আছে।

এদিকে তালিকা তৈরীর ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা মানা হয়নি বলে অভিযোগ বিভিন্ন ইউনিয়নের মৎস্য চাষীদের। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমান বলেন ১২টি ইউনিয়নে মৎস্য কর্মকর্তার নিযুক্ত ১২জন প্রতিনিধি মৎস্য চাষীদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। যেমন মথুরেশপুর ইউনিয়নে গোলাম ফারুক, কৃষ্ণনগর আবু রায়হান, মৌতলায় রায়হান ইসলাম, ধলবাড়িয়ায় গোলাম মোস্তফা আলম, চাম্পাফুল ইউনিয়নে মোঃ রজব আলী, তারালী ইউনিয়নে বাসুদেব, নলতায় মাসুদুল হক,ভাড়াশিমলায় মোস্তাফিজুর রহমান, কুশলিয়ায় মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণশ্রীপুর আমিনুল ইসলাম, রতনপুর ইউনিয়নে আব্দুর রফিক, বিষ্ণুপুর আব্দুর রহমান।

এই ১২ জন মৎস্য চাষিদের নাম তালিকা ভুক্তির শর্তে প্রত্যেক মৎস্য চাষীর কাছ থেকে নগদ তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। যারা দিতে পারিনি তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল সিম কিনে নিয়েছে অথবা পুরানো সিমে যার বিকাশ খোলা আছে সে সিমে নগদ একাউন্ট খুলে নিয়েছে। অধিকাংশ চাষী বিকাশের একাউন্ট ওপেন কোর্ড *147# জানলেও নগদের *167# ওপেন কোর্ড জানেনা। মৎস্য চাষীদের দুর্বলতার সুযোগে এই প্রতারক চক্র সিমে টাকা ঢোকার অপেক্ষায় থাকে। ১৫ফেব্রুয়ারীর পরে যখন মৎস্য চাষীদের সিমে টাকা ঢুকতে থাকে তখন মৎস্য কর্মকর্তার নিযুক্ত দালালরা প্রনোদনার টাকা প্রাপ্ত মৎস্য চাষীদের মোবাইল সিম নিয়ে নির্ধারিত স্থানে আসতে বলে এবং তাদের সিমে প্রাপ্ত প্রনোদনার অধিকাংশ টাকা ট্রান্সফার করে অন্য সিমে নিয়ে নেয় এবং চাষীদের হাতে ৪ হাজার ৭ হাজার কিম্বা ৯ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দেয় । বাকী টাকা ঐ ১২ জন দালালের মাধ্যমে মৎস্য কর্মকর্তা এবং তার সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায়।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে কালিগঞ্জ মৎস্য অফিসে কর্মরত উজ্জল অধিকারী তিনি নিজেই একটি সিন্ডিকেট তৈরী করে এলাকার মৎস্য চাষীদের কাছে থেকে সুবিধা গ্রহণ করে আসছে। বিভিন্ন সময় অফিসার বদলালেও তিনি কোথাও বোদলি হননি। বরঞ্চ নতুন অফিসার আসলে তাকে বিশেষ সুবিধায় তার অনুকুলে নিয়েছেন। এই রিপোট করার সময় আমরা যখন মৎস্য অফিসে যাই তখন তিনি তার কর্মস্থল দেবহাটা মৎস্য অফিস ছেড়ে কালিগঞ্জ মৎস্য অফিসে অবস্থান করছিলেন। এসময় সাংবাদিকরা তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নের জবাব না দিয়ে দ্রুত অফিসের নীচে পালিয়ে যান।

তবে কালিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ও তার কর্মচারী উজ্জল অধিকারী বর্তমানে যিনি দেবহাটা মৎস্য অফিসে কর্মরত তিনি এবং ১২ ইউনিয়নে নিযুক্ত দালালরা এই তালিকা তৈরীতে অনিয়ম করেছেন। এই তালিকা তৈরীর সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর থাকলেও তারা ভিন্ন কথা বলেছে। নলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান বলেন কর্মব্যস্ততার মধ্যে মাসুদুল হক কখন কিভাবে এই তালিকায় স্বাক্ষর করিয়েছে আমি জানিনা। তাছাড়া তারাতো যে লিস্ট করে সিমে টাকা দিয়েছে তা আমার জানার কথাও নয়।

এদিকে ৫হাজার ২শত ৭৭জনের তালিকা প্রনয়নের পরে ঐ তালিকা যাচাই বাছাই করে চুড়ান্ত স্বাক্ষর করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার ইকবাল আহমেদ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ মনোজ কুমার মন্ডল, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম এবং খোদ বিগত উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হক রাসেল। এখন জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পাবলিক প্রতিনিধি বিশেষ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদ মেহেদী কিম্বা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানরা অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়া এই তালিকা চুড়ান্ত হলো কিভাবে?

ক্ষুদ্র মৎস্য চাষীদের দাবী বিষয়টি তদন্ত হোক। তারা তাদের প্রাপ্য বুঝে পাক। একারনে বিষয়টি নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার নাব খন্দকার রবিউল ইসলাম সাথে। তিনি বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি এবং জেনেছি। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। বিষয়টি প্রমানিত হলে ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved ©sundarbonbarta.com2020

Hosted By LOCAL IT